Notice to Customers : কাস্টমারদের ধার বন্ধে এক দোকানদারের আবেদন! ধার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও আক্ষেপ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

বাকি দেওয়া বন্ধ,বাকি দিলেই অজুহাতের শেষ থাকে না কাস্টমারদের। এই নিয়ে ১২ দফা অজুহাত লিখে পোস্টার সাঁটালো দোকানদার।এরকমই ছবি মেদিনীপুর শহরের অলি গলিতে ব্যস্তবহুল পঞ্চুর চক মোড়ের দোকানে দোকানে।

গোটা রাজ্যের সঙ্গে মেদিনীপুর জেলা ও শহরে ছোট ছোট ব্যবসা বিশেষ করে পান,চা দোকানে ভর্তি লোকাল ও ব্যস্তবহুল মোড় গুলো। আর সেই চা,পান দোকানে ছেলে ছোকরাদের আড্ডা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে।বর্তমানে তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কিশোর তরুণের সঙ্গে টিনএজ মহিলাদেরও আড্ডা সংখ্যা বাড়ছে।তবে এই আড্ডার সংখ্যা বাড়লেও দোকানদারদের ইনকাম বাড়ে নি বললেই চলে,কারণ ধার দেওয়া।সকাল সন্ধ্যা ধূমপান হোক কিংবা চা খেতে আসা সবাই চায় ধারে জিনিস কিনতে।মাসের পর মাস সেই ধার দিয়ে কোনক্রমে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে দোকানদাররা।না ধার দিলে কাস্টমার আসবে না।আর তারা না এলে ব্যবসায় বিক্রি বাটা হবে না। যদিও ধার দিয়ে মাসের শেষে একটা মোটা টাকা পাওয়া যায়।সেই আশায় ধার দেন ব্যবসায়ীরা।

কিন্তু এক ব্যবসায়ী তার করুন আর্তি,আবেদন জানালো কাস্টমারদের কাছে ফ্লেক্স ও ব্যানারের মাধ্যমে।তাতে ওই ব্যবসায়ী লিখেছে “বাকি দেওয়া বন্ধ”কারণ বাকি অথবা ধার দিলে তা চাইতে গেলে কাস্টমাররা যেসব সমস্যা তাকে শোনায় সে গুলো হলো “কেউ বলে অসুখ হয়েছে,কেউ বলে কেউ না কেউ মারা গেছে,কখনো বলে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেছে,কেউ বলে এখনো আমি বেতনই পায়নি,কি করে মেটাবো।কারো কারো আবার অন্যরকম অজুহাত।এমনকি বাবা-মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে ছাড়ে না এরা।তার সঙ্গে থাকে অভাব অনটনের অভিযোগ।মাসের পর মাস টাকা চাইতে না পেয়ে অনেকে আবার কিস্তি দিতে পারছি না বলেও দোকানদারকে জানায়।অনেকে আবার ফ্যামিলির সমস্যা,কাজ নেই বলে দেখাই পাওয়া যায় না।অবশেষে শেষ পর্যায়ে তাদের শেষ অজুহাত “দোকানদারের ব্যবহার অত্যন্ত বাজে এবং খুব বাজে লোক”।

এইভাবেই একের পর এক অভিযোগ তুলে ধার তো মেটায় না উল্টে সেই দোকানের পথ এড়িয়ে যায়।তাই এক দোকানদার বাধ্য হয়ে এরকম বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।সেই বিজ্ঞপ্তিতে সে লিখছে ধার দিলে এরকম বহু সমস্যা সৃষ্টি হয়।সুতরাং বাকি দিয়ে কাস্টমারের এত সমস্যা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে আমি মনে করছি।এরকমই চিত্র এখন মেদিনীপুর শহরের ব্যস্তবহুল মোড় পঞ্চুর চক এলাকায়।


Share

dnews.in