
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
প্রায় ৫০ দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা।এক থেকে দশের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করল পশ্চিম মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র বীরেশ ঘোষ,যা নিয়ে উৎসাহ উন্মাদনা। যদিও পড়ুয়ার দাবি কোন টিউশন ছাড়াই তার এই সাফল্য।

মাধ্যমিকে ভেবেছিল এক থেকে পাঁচের মধ্যে রাঙ্ক করবে কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি।সেই কষ্ট দাঁতে চেপে লড়াই করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিশোধ নিল মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র বীরেশ ঘোষ।রাজ্যে এক থেকে দশের মধ্যে বীরেশের স্থান পঞ্চম।এই ঘটনাই খুশি বীরেশ ও তার পরিবার।এই দিন ফলাফল ঘোষণা হতেই খুশির হাওয়া পালবাড়ি এলাকায় ঘোষ পরিবারে এবং স্কুলে।এই পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩।পরিবার সূত্রে জানা যায় বীরেশের বাবা একজন স্কুল টিচার,মা হলেন গৃহবধূ।যদিও পড়াশোনার ব্যাপারে পড়ুয়ার বক্তব্য টিউশনি তার কোনদিনই ছিল না।মাঝখানে মাস খানেকের জন্য টিউশনি নিয়েছিল কিন্তু ওইটুকুই।দিনে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়ে এই সাফল্য অর্জন করেছে সে।যদিও এই পড়ার ব্যাপারে পরিবার শুধু না স্কুলকেও কোনরকম সুযোগই দেয়নি।এদিন সাংবাদিকরা এসে যাওয়ায় JEE অ্যাডভান্স টেকনিক্যাল লাইনে পড়ার জন্য বিদেশ কিছুটা ইতস্তত বোধ করে সে।

তারই মধ্যে ১০ মিনিট বার করিয়ে সে ইন্টারভিউ দেয় এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়েও উত্তর দেয়।বীরেশ অবসর সময়ে গীটার বাজাতে ভালবাসে।যদিও আগামী দিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জন্য সে বার্তা দেয় নিয়ম মত করে বাড়িতে পড়াশোনা করলেই এই সাফল্য অর্জন করা যেতে পারে।

এই সাফল্য নিয়ে বীরেশ বলে,”নিয়ম মত ১০ থেকে ১২ ঘন্টা করে পড়াশোনা করতাম কোনদিনই সেভাবে টিউশনি শিক্ষকদের সাহায্য নেতা হয়নি আমাকে। পরিবার থেকে সেভাবে সাহায্য নিতে হয়নি,নিতে হয়নি স্কুলের। নিজেই পড়ার চেষ্টা করেছি এবং করেছি। মাধ্যমিকে ভেবেছিলাম ভালো রেজাল্ট হবে।তা না হওয়ায় রেজাল্ট বেরোনোর পরেই বাড়িতে এসে পড়া শুরু করি।তবে টেকনিক্যাল লাইনে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার।অবসর সময় গিটার বাজাতে ভালোবাসি।

যদিও এই নিয়ে বীরেশের মা পম্পা ঘোষ ও বাবা গৌতম ঘোষ বলেন,”ছেলের এই সাফল্যে আমরা খুব খুশি। আমরা খুশি হতে পারেনি ওর মাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে। তবে ছেলে যেদিকে পড়াশোনা করতে চায় আমরা চাইবো সেই দিকেই ও যাক।