নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
সম্প্রতি উত্তপ্ত সন্দেশখালি।বিশেষ করে তৃণমূল নেতা শাহাজানকে ঘিরে এখনো রাজ্য রাজনীতিতে নাম রয়েছে সন্দেশখালীর।শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমাগত বেড়েই চলছে।ইতিমধ্যে সেই এলাকায় মানুষের সঙ্গে কথা বলতে বিরোধীরা একের পর এক দল হাজির হয়েছে।পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন।পরে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে কিন্তু সন্দেশখালি সন্দেশখালিতেই আছে।আরেক পাশে অজিত মাইতির নাম বিভ্রান্তে মেদিনীপুরের পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি জড়িয়ে পড়লেন।বাধ্য হয়ে তিনি এক ভিডিও বার্তার মধ্যে জানালেন তিনি সন্দেশখালীর অজিত মাইতি নন,তিনি মেদিনীপুরের বিধায়ক অজিত মাইতি।
প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় সন্দেশখালীর এই উত্তপ্ত পরিবেশের জন্য দায়ী শাহাজান আলী।তার সঙ্গে ওখানকার অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতির নাম উঠে এসেছে।সেই অজিত মাইতি কে রীতিমত তাড়া করেছে ওখানকার জনতা এবং তাকে ঘরে আটকে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।যদি ওই অজিত মাইতি”নাম বিভ্রান্তিতেই”মেদিনীপুরের অজিত মাইতি কে নিয়ে কয়েকটি নিউজ চ্যানেল খবর করে দেয়।যা নিয়ে শিরোনামে ছড়িয়েছে মেদিনীপুরের অজিত মাইতি কে নিয়ে। ফলে তৃণমূল নেতা হিসেবে নাম মিলে যাওয়ায় সেই অজিত মাইতিকে নিয়েও বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।অনেকে অজিত বাবুকে ফোন করো খোঁজ খবর নেন।অনেকে তার বাড়ির আশেপাশেও খতিয়ে দেখেন ঘটনা।যদিও এই পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি দীর্ঘ ১৬-২০ দিন ধরে হার্টের সমস্যা জনিত কারণ নিয়ে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন।সম্প্রতি তিনি একটু সুস্থবোধ হতেই তিনি এই নিউজ চ্যানেলের খবর দেখে কিছুটা ভেঙে পড়েন।
তিনি বাধ্য হয়ে এক প্রকার বিবৃতি দিতে রাজি হলেন এবং এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন”তিনি সন্দেশখালীর অজিত মাইতি নন,তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৫ টি বিধানসভার মধ্যে অন্যতম পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি”।তার নাম করে,যেসব সাংবাদিক এবং নিউজ চ্যানেল বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন তারা যেন ভুল শুধরে নেন। যদিও এই নিয়েই চাঞ্চল্য জেলায়।