Becharam Manna: “ঝাড়গ্রাম পুলিশ প্রশাসন ভালো কাজ করছে”!বর্ডার খতিয়ে দেখে মন্তব্য কৃষি বিপণন মন্ত্রীর

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:

রাজ্যের আলু ভান্ডারে পর্যাপ্ত আলু নেই,তাই অন্য রাজ্যে যাতে আলু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভেতরে ভেতরে আলু ব্যবসায়ী এবং কিছু পুলিশের মদতে পাচার হচ্ছে সেই আলু।তাই সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেলায় এলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। মেদিনীপুরের বর্ডারের পর ঝাড়গ্রাম বর্ডার ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ মন্ত্রীর।বললেন ঝাড়্গ্রাম জেলা প্রশাসন ও পুলিশ ভালো কাজ করছে।

রাজ্যের ভান্ডারে আলু প্রায় শেষের মুখে।দানা ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আলু চাষে দেরি হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের পরিবর্তে নতুন আলু বাজারে আসবে জানুয়ারি মাসে।ফলে রাজ্যের ভান্ডারে যে পরিমাণ আলু রয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্য সরকার।রাজ্যের মানুষের কথা মাথায় রেখে ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার।অভিযোগ,রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে মাঝেমধ্যেই ঝাড়খন্ড হয়ে উড়িষ্যা সহ বিভিন্ন রাজ্যে আলু চলে যাচ্ছে।এই অভিযোগ সামনে আসতেই বুধবার ভোর ভোর হঠাৎ করেই বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান এলাকায় সরজমিনে খতিয়ে দেখতে হাজির রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনামুখী গ্রামে পৌঁছে যায় মন্ত্রী।সোনামুখী গ্রামের মধ্য দিয়ে দুটি রাস্তা ভাগে হয়ে ঝাড়খন্ড চলে যাচ্ছে।একটি রাস্তা ঝাড়খন্ডের মানুষমুড়িয়া হয়ে চলে যাচ্ছে উড়িষ্যার দিকে অন্য একটি রাস্তা চাকুলিয়া হয়ে ঢুকে পড়ছে ঝাড়খন্ডে।মন্ত্রী এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি সোনামুখী গ্রামের গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এই জঙ্গল পথের রাস্তা দিয়ে আলু গাড়ি চলছে কিনা।উত্তরে গ্রামবাসীরা মন্ত্রী কে জানান এই রাস্তা দিয়ে আলু গাড়ি যাতায়াত করে না।এইদিন মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগারওয়াল, বিনপুর বিধানসভার বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক শুভ্রজিৎ গুপ্ত, ঝাড়গ্রামের দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামিম বিশ্বাস,জামবনির বিডিও দেবব্রত জানা সহ অন্যান্য আধিকারিক ও পুলিশ অফিসাররা।
জানা গিয়েছে,মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পর ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন ও ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়েছে।কলকাতা মুম্বাই 6 নম্বর জাতীয় সড়কের বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা চিচিড়ায় নাকা চেকিং এর মাধ্যমে আলু গাড়ির উপর নজর দারি রাখা হচ্ছে।অপরদিকে দহিজুড়ি থেকে পড়িহাটি হয়ে ঝাড়খন্ড যাওয়ার রাস্তার উপরেও নাকা চেকিং রয়েছে পুলিশের। এছাড়াও বর্ডার সংলগ্ন গ্রামীণ রাস্তা গুলোতেও পুলিশের পক্ষ থেকে অবিরাম নজরদারি চালানো হচ্ছে।

এই বিষয়ে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন,”আমাদের কাছে ইনফরমেশন ছিল জামবনি সহ বিভিন্ন বর্ডার লাগবে এলাকা দিয়ে ঝাড়খন্ড হয়ে উড়িষ্যার দিকে আলু গাড়ি চলে যাচ্ছে।একবার চাক্ষুষ দেখার জন্য এসেছিলাম বিষয়টা কি!হিজলি হয়ে সোনামুখী গ্রামে এসেছিলাম। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললাম।তেমন কোন খবর নেই ।আমরা বর্ডার নজরদারি রাখছি।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন রাজ্যের মানুষের যতটা আলুর প্রয়োজন তা রেখে বাড়তি আলু বাইরে পাঠানোর জন্য।2রা ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী আমাদের কাছে 6 লক্ষ 2 হাজার মেট্রিক টন চালু রয়েছে। আমাদের 45 দিন আলু চালাতে হবে। দানা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আলু চাষ পিছিয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের 25 তারিখ যে নতুন আলু পাওয়া যেত তা জানুয়ারির 10 থেকে 15 তারিখের দিকে পাওয়া যাবে। আমাদের কাছে বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণে আলু রয়েছে। রাজ্যের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাজ্যের মানুষের কথা না ভেবে চোরা পথে ভিড় রাজ্যের চালান করছে। আমাদের প্রশাসন কড়া নজরদারি রেখেছে যাতে কোনোভাবেই এইসব পথে আলু বাইরে না যায়”।

কৃষি বিপণন মন্ত্রী বর্ডার এলাকা পরিদর্শনের পর ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন ও ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের কাজকর্মে সন্তোষ প্রকাশ করেন।মন্ত্রী বলেন,”ঝাড়গ্রাম জেলা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার খুবই ভালো কাজ করছেন। এলাকার বর্ডারে নজরদারি রেখেছেন”।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in