
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
বছরের শুরুতেই ডাক্তারদের প্র্যাকটিসের উপর বিধিনিসের জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর।অনুমতি ছাড়া কোন ধরনের প্রাইভেট প্রাকটিস না।এবার সরকারী হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিত্সকদের জন্য এবার নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।এই নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কোনও অধ্যাপক চিকিত্সক যদি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে চান,তাহলে ডিরেক্টর অফ হেল্প এডুকেশনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।সেই সঙ্গে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট লাগবে।শুধু তাই নয়,সরকারি হাসপাতালে কোয়ার্টার প্রাইভেট প্র্যাকটিশ করা যাবে না আর।

আসলে ঘটনাটি ঠিক কী?তাহলে কি এখন কোন বিধি নিষেধ নেই? না, সরকারি হাসপাতালে অধ্যাপক চিকিত্সকরাও হাসপাতালের বাইরেও রোগী দেখেন!তারা কি প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করেন?বাস্তবে দেখা যায় কেউ কেউ তো সরকারি কোয়ার্টারেই চেম্বার খুলে বসেছেন। বিধানসভায় স্বাস্থ্যসাথীর টাকার অপ ব্যবহারের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেছিলেন, ডাবল চেক করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথীর টাকার অপব্যবহার ধরা পড়েছে’ সেই সঙ্গে চিকিত্সকদের একাংশকে কড়া বার্তা,’আপনি কাজও করবেন না, টাকাও ঘুরিয়ে নেবেন। ডিপার্টমেন্ট তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে’। এরপরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে একগুচ্ছ নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে ফেললো এই রাজ্য সরকার।


এরই পাশাপাশি এবার বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিত্সা করলে সরকারি চিকিত্সকদের হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য ভবন।যে নির্দেশিকায় উল্লেখ,’নন-প্র্যাকটিসিং অ্য়ালাউন্স নিচ্ছেন না’।এই মর্মে হলফনামা দিতে হবে সরকারি চিকিত্সকদের।কোনও বিচ্যুতি হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।এই নিয়ম নীতিতে সরকারি চিকিত্সকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে রাশ টানতে চাইছে সরকার?