
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
একজন প্রসূতির মৃত্যু এবং একে একে ৪ প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মাতৃমা থেকে আই সি ইউ তে ভর্তি হওয়ায় মেদিনীপুরে পরিস্থিতি খতি দেখতে এলেন রাজ্যে ১৩ সদস্যের একটি টিম।এইদিন তারা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আধিকারীদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন।এই টিমে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল এডুকেশন বিভাগের ওএসডি ডাঃ আশিষ বিশ্বাস এবং ডিরেক্টর ডাঃ প্রসূন কুমার দাস।

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক্সপায়ারি স্যালাইনের সঙ্গে চিকিৎসার অব্যবস্থার কারণে মৃত্যু ঘটেছে এক প্রসূতির এইসঙ্গে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে আরও চারজন প্রসূতি।যাদের শিশু রা এখনো রয়েছে মাতৃমাতে। এই ঘটনায় এক্সপায়ারি স্যালাইন এবং ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার।যে ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। এই ঘটনায় তড়িঘড়ি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল এডুকেশন বিভাগের ওএসডি ডাঃ আশিষ বিশ্বাস এবং ডিরেক্টর ডাঃ প্রসূন কুমার দাসের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল।এরই পাশাপাশি প্রতিনিধি দলে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের একাধিক কর্তার পাশাপাশি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপকরাও।


পাশাপাশি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ জেলার সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ মিটিংয়ে বসেন।প্রায় দু’ঘণ্টা মিটিং করার পর তারা আইসিইউ তে গিয়ে অসুস্থ প্রসূতিদের দেখে আসেন।তবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে খোলাখুলি কিছু বলতে চাইনি এই টিমের সদস্যরা।শুধু এইটুকু জানান রোগীরা ভালো আছে,বাকি সব কিছু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে টিমের সদস্য সরোজ মন্ডল বলেন,পেশেন্ট এখন সুস্থ আছে।রীতিমত নড়াচড়া করছে।তবে আরএল স্যালাইন নিয়ে তিনি বললেন গোটাটাই তদন্তে রয়েছে।
অন্যদিকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী বলেন,”আমাদের রাজ্য সরকার টিমের সঙ্গে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বাকি পেসেন্টরা ভালো রয়েছে।