
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
একদিকে মেডিকেল টিমের পরিদর্শন আর অন্যদিকে রাজনৈতিক দল গুলির প্রতিবাদে উত্তাল হল মেদিনীপুর।যদিও শেষ পর্যন্ত ঘাম ছুটলো পুলিশের।এইদিন একদিকে কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল মেদিনীপুর মেডিকেল হাসপাতাল চত্বরে যা আটকাতে এক রকমের ধস্তাধস্তি।বাম ছাত্র যুব সংগঠনের মিছিল,প্রতিবাদ,অবস্থান কর্মসূচি।পরে পথ অবরোধ করতে গিয়ে গ্রেফতার ১৯ জন নেতাকর্মী সহ জেলা সম্পাদক।আর অন্যদিকে বিজেপির বিক্ষোভ প্রতিবাদ হাসপাতাল চত্বরে।

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজেে expairy স্যালাইনে রোগী মৃত্যুতে বিক্ষোভ অব্যাহত।এদিন একদিকে মেদিনীপুরে এলো ১৩ জনের রাজ্য সরকারের একটি মেডিকেল টিম আর অন্যদিকে বিক্ষোভ ফেটে পড়ল বামেদের ছাত্র যুব সংগঠন SFI DYFI।এরই পাশাপাশি বিক্ষোভে দেখালো এক প্রস্থ কংগ্রেস নেতৃত্ব।মূলত এদিন সকাল হতেই কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব পতাকা নিয়ে রীতিমতো হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে পড়ে।তারা স্লোগান দিতে দিতে মেডিকেল কলেজের সুপারের দপ্তরের সামনে এক প্রস্থ বিক্ষোভ দেখায়।তবে তাদের মিছিল হাসপাতালে না ঢুকে তার জন্য পুলিশ আটকাতে গেলে শুরু হয় তর্কাতর্কি।অবশেষে হাসপাতালে গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা।অন্যদিকে হাসপাতাল সুপার এর অফিস ঘেরাও করে সকাল থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বামেদের ছাত্র-যুব সংগঠন SFI DYFI।তারা রাজ্য সরকার এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান তোলেন।

এরপর তারা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম বৈঠকে ছিলেন সেই গেটে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ প্রশাসন।শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে SFI DYFI এর সঙ্গে ধস্তাধস্তি।পরে আবার সন্ধ্যেবেলায় এক প্রস্থ পথ অবরোধ হয় এবং সেই পথ অবরোধে মোট ১৯ জন বা নেতাকর্মী ছাত্র যুব গ্রেপ্তার হন পুলিশের হাতে।যার মধ্যে ছিলেন সিপি আইএমের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক বিজয় পাল।এরই পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মারা যাওয়া প্রসূতি মামনি রুইদাস এর পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও তার শিশুসন্তান এর লালন পালনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে এই দাবীকে সামনে রেখে অবস্থান বিক্ষোভ করে।

পাশাপাশি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের এম এস ভি পি ও প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মেডিকেল কলেজ চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ।এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়,সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত, রঞ্জন ঘোষ অভিজিৎ দে সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে পাঁচ প্রসূতির সীজার করা হয়।এই অপারেশনে সুস্থ সন্তানও জন্ম দেন তারা। কিন্তু অপারেশনের কয়েক ঘন্টা পর থেকেই ওই পাঁচ প্রসূতির শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।রোগীর পরিজনদের অভিযোগ মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নিম্নমানের স্যালাইন ও ওষুধপত্র ব্যবহার করা হয়েছে রোগীদের ক্ষেত্রে। সেইসঙ্গে স্যালাইনের বোতলে ছত্রাকও মজুত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।এই বিষয়টি নিয়ে গত বৃহষ্পতিবারই তারা হাসপাতাল সুপারকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।সেই আবেদনের ভিত্তিতে একটি আভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটিও গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।কিন্তু গত শুক্রবার ভোরে ওই পাঁচ প্রসূতির মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটতেই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়।রাত শেষে সকাল হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী নেতৃত্ব।